শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ও চুড়ান্ত বরখাস্তের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার,রংপুর : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘি গার্লস একাডেমি বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভালো নম্বর পাইয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে যৌন হয়রানির অভিযোগে অনুপ কুমার মোহন্ত নামে ধর্মীয় (কাব্যতীর্থ) বিভাগের শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওই শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছে। এদিকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্তের দাবিতে এলাকাবাসী তিনদিন ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে যৌন হয়রানি করে আসছিল। ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি জরুরি সভা করে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে। অভিযুক্ত শিক্ষক অনুপ কুমার মোহন্ত পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট হাসানপাড়া (বাজারপাড়া) গ্রামের শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্তের ছেলে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক জানান, শুধু একজন নয় একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই ধর্মীয় (কাব্যতীর্থ) শিক্ষক হিসেবে অনুপ কুমার মহন্ত উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে কৌশলে ফাঁদে ফেলে যৌন হয়রানি করে মর্মে ভুক্তভোগী ১০/১২ জন ছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি জরুরি সভায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ওই শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষক অনুপ একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কথা লিখিতভাবে স্বীকার করেছে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও চূড়ান্ত বরখাস্তের দাবিতে এলাকাবাসী গত তিনদিন ধরে বিদ্যালয় এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরে এলাকাবাসী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মমিন মন্ডলকে স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে ওই শিক্ষকের চূড়ান্ত বরখাস্তের দাবি করা হয়। পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মমিন মন্ডল জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।