গাইবান্ধা

শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, বর্তমান ও সাবেক অধ্যক্ষ,শিক্ষক সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

তারার আলো অনলাইন ডেস্ক:-মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এফ হক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ও বর্তমান অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

উপবৃত্তির টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্থানীয় রিপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে জেলা সিনিয়র সহকারী জজের আদালতে একটি মামলাটি করেন। মামলার মূল আসামিরা হলেন- চন্ডিপুর এফ হক উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হক, পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আমিন হোসেন, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রশিদ, মোজাহিদুল সরকার, সাইফুল্লা, হাবিবুর রহমান এবং অফিস সহকারী ফিরোজ কবিরকে।

এছাড়া সহযোগী আসামি করা হয়েছে- বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক শাখার (সুন্দরগঞ্জ) ব্যবস্থাপক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের দিনাজপুরের চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক।

গতকাল সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম প্রধান জানান, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তালিকায় নাম ও তথ্য ঠিক থাকলেও কৌশলে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেন সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতিসহ কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী। পরে কয়েক কিস্তিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির মোট চার লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন তারা। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন তদন্তে উপবৃত্তি আত্মসাতসহ অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রমাণও পায় উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি উপবৃত্তির টাকা ফেরতও পায়নি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরও জানান, মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতে জড়িতদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরতের দাবিতে আদালতে প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা করেন রিপন মিয়া। আগামী ৭ অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া গত ৩০ জুন বিবাদী সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠালেও তিনি তার জবাব দেননি।

টিএ/বিটি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button