সৈয়দপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিন
দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, সৈয়দপুর (নীলফামারী):
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ছয় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই বই মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোখছেদুল মোমিন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল রায়হানের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নুর মোহাম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একরামুল হক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান বইমেলার ইনচার্জ দেবজ্যোতি মন্ডল, সংগঠক মো. আশরাফুল ইসলাম, বিক্রয় কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম, বোতলাগাড়ী ইউপি সদস্য মো. হারুন- অর- রশীদ, বাঙ্গালীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম মন্ডলসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছয় দিন ব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলায় শতাধিক প্রকাশনা সংস্থার প্রায় ১০ হাজার বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে। দেশি বিদেশী লেখকদের বিভিন্ন বিখ্যাত উপন্যাস, গল্প, রম্য রচনা, কবিতা, ভ্রমন কাহিনী, নাটক, শিশুতোষ, প্রবন্ধ, সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক উপন্যাস, রূপকথা, অনুবাদ গ্রন্থ,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা বিষয়ক, রান্না বিষয়ক, কম্পিউটার, অভিধান, ভাষা শেখাসহ নানা ধরণের বই পাওয়া যাচ্ছে ভ্রাম্যমান বই মেলায়।
বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমান বই মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর জনপদের শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন স্কুল – কলেজের নানা বয়সী শিক্ষার্থী ও বইপ্রেমীরা বই কিনতে ও দেখতে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছেন একাকী। কেউবা এসেছেন অভিভাবকদের সঙ্গে। অনেকে এসেছেন আবার ভাই বোনদের নিয়ে। ভ্রাম্যমান বই মেলায় সেলফে রাখা বই দেখছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা তিন নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার অশোক রায় ও বাঙ্গালীপুর নিজাপাড়ার আশরাফুল ইসলাম।
সেখানে অশোক রায়ের সঙ্গে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি জানান, কবি ও উপন্যাস পড়তে তাঁর ভাল লাগে। তিনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান বই মেলা থেকে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের লেখা ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ এবং তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যয়ের ‘কবি’ উপন্যাস দুইটি কেনেন। অশোক রায় জানান, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যয়ের ‘কবি’ উপন্যাস তাঁর সংগ্রহে ছিল। কিন্তু সেটি তাঁর বাসা কে খোয়া যায়।
তাই আজ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান বই মেলা থেকে উপন্যাসটি আবারও সংগ্রহ করলেন তিনি। যদিও বইটির গায়ে বিক্রি মূল্য লেখা ২৫০ টাকা ছিল। কিন্তু ৩০% কমিশনে সেটি ১৭৫ টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছেন তিনি।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান বই মেলার ইনচার্জ দেবজ্যোতি মন্ডল জানান, ছয় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলা প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে। আগামী ২ জানুয়ারী পর্যন্ত বই মেলা চলবে।
এতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বইয়ে শতকরা ৩০ ভাগ, বাংলাদেশী অন্যান্য প্রকাশনী সংস্থার বইয়ে শতকরা ২৫ ভাগ কমিশনে এবং ভারতীয় বইয়ের গায়ে লেখা দামের এক রুপী অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় দেড় গুন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।