সৈয়দপুর ক্যান্ট. বোর্ড হাই স্কুলের ১৯৯২ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

স্টাফ রিপোর্টার, সৈয়দপুর (নীলফামারী) :
নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের ১৯৯২ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের বিমানবন্দর সড়কে ইকু হেরিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্টে গত শুক্রবার দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ১৯৯২ এসএসসি ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা অংশ গ্রহন করেন। পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সকালে শুরুতেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শেখ কাইউম ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সফিউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে কেক কেটে পুণর্মিলনী অনুুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বিগত দিনে কর্মরত ও অধ্যয়নকারী যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান এবং মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরনিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর পরিচিতি পর্বে প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পরিচয়, বর্তমান পেশা ও অবস্থানসহ পারিবারিক সাফল্য গাঁথা দিকগুলো তুলে ধরেন।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. কাইউম শেখ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সফিউদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুবা খাতুন ও আলহাজ্ব মো. খলিলুর রহমান বিপিএড, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল করিম রকিব, এএসএম সায়েম,আবুল কালাম আজাদ, ফেরদৌসী বেগম শিউলী,জামাল হোসেন,সাখাওয়াত হোসেন,মিজানুর রহমান কামরুল হাসান, জয়নাল আবেদীন,মঞ্জরুল ইসলাম প্রমূখ। পরবর্তীতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে ছুঁটে যান তাদের স্মৃতিভরা প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের চত্বরে তাদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গায়গুলোতে দলবদ্ধভাবে নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করেন। পরে সেখানে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নিজেরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নাচে গানে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের হাতে প্রীতি উপহারসামগ্রী তুলে দেন। এরপর শিক্ষাগুরু ও সহপাঠীদের সকলের কাছ থেকে দোয়া চেয়ে বিদায় গ্রহন করেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পেশাগত কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও প্রবাসে অবস্থানকারী অনেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছুঁটে আসেন।