নীলফামারী

সৈয়দপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাদিম ১৭০পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার,সৈয়দপুর (নীলফামারী):
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন নাদিমকে (৩০) ১৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় একটি একটি মামলা হয়েছে। পরে তাকে সৈয়দপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ওসমান গণির ছেলে ইমরান হোসেন নাদিম। সে পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন যাবৎ তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ী নাদিমের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয় এবং তার মাদকের ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পায়।

পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে নাসিমকে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করতে সোর্স নিয়োগ করা হয়। আর সোমবার ওই সোর্সের দেওয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল হকের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি দল তার বাঁশবাড়ী বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে তার বাসা থেকে ১৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

নীলফামারী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক খবির আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ঘরের খাটের নিচ থেকে ওই পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সংগ্রহে রাখার কথা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল হক বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা ও আসামি নাদিমকে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। থানা পুলিশ বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করে।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার ইমরান নাদিমকে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নাদিম কয়েক বছর আগে প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সৈয়দপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ নেন। তখন থেকে পদের অপব্যবহার করে আসছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button