রংপুরস্থানীয়

সড়ক তো নয়,যেন পুকুর বা জলাশয়,তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ রোড

তারার আলো খবর: পাকা সড়ক ভেঙে ইটের সলিংয়ের সড়ক তৈরি করেও জলাবদ্ধতার নিরসন হয়নি। দুর্ভোগ আরও দ্বিগুন বেড়েছে। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার সড়ক বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের প্রধান এ সড়কটি দেখলে যে কেউ মনে করবে এটা সড়ক নয়,যেন জলাশয় বা পুকুর। অপরিকল্পিতভাবে নিম্নমানের ইট দিয়ে সলিংয়ের কাজ করায় তারাগঞ্জ চৌপথী বাসস্ট্যান্ড হতে তারাগঞ্জ বাজারের অগ্রনী ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে নিচু হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানে স্থানে জলাশয় বা পুকুর সাদৃশ্য জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সামান্য বৃষ্টিপাতে নিচু স্থানে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। পানি জমে থাকার কারণে নিচু স্থানের গভীরতা বুঝতে পারছেন না যানবাহন চালকরা। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী বার বার উপজেলা সদরের এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানালে গত বছর পাকা সড়ক ভেঙে ইট দিয়ে সলিং করে অপরিকল্পিতভাবে ইটের সড়ক করা হয়। রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। দূরত্ব মাত্র ১০ কিঃ মিটার। তারমধ্যে শুরুতে তারাগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড থেকে তারাগঞ্জ সদর বাজারের এক কিঃ মিটারের এ বেহাল অবস্থা। সড়কের অবস্থা দেখে মনে হয়,এ সড়কটির যেন কোন অভিভাবক নেই। এলজিইডি বলছে সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই তাদেরও কিছুই করার নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে,আপাতত চলাচল উপযোগি করা হয়েছে। দ্রুতই পাকা করণের কাজ করা হবে। কিন্তু তাও হচ্ছে না। কারণ এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্টদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কে পানি জমে যায়। ফলে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করে কাদাপানিতে চলাফেরা করে। এ সড়কের পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল,কলেজ -মাদ্রাসা,ব্যাংক, থানা সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এসময় রিকসা চালক তোবারক বলেন,আশা করছোনো শিল্পপতি মানুষকে ভোট দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান করনো হামার আস্তাঘাট বোধহয় ভালো করবে,কিন্তুক তাও কেনবা হওছে না। একই ধরনের কথা বলেন, অটো চালক সিদ্দিক, এনতাজুল সহ আরও উপস্থিত কয়েকজন।
তারাগঞ্জ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লাবু মিয়া জানান,তারাগঞ্জ বাজারে প্রবেশের এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় রিকসা ভ্যান যোগে চলাচল ও মালামাল পরিবহন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে রিকসা ভ্যান চালকরা মালামাল পরিবহন করতে চায় না। বেশী ভাড়া দিয়ে বহনের কাজ করে নিতে হচ্ছে।
এলজিইডির তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান জানান,তারাগঞ্জ বাজারের ভিতর দিয়ে যে সড়কটি কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গেছে সেটি এলজিইডির নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তারাই নির্মাণ করেছে। তাদেরই সংস্কার সহ সকল দেখা শুনার দায়িত্ব।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সোলেমান আলী জানান,সড়কটির অগ্রণী বাংকের সামনে থেকে তারাগঞ্জ চৌপথী বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত একেবারেই চলাচলের অযোগ্য অংশে পাকা ভেঙে ইট বসিয়ে এইচ বি বি করণ(সলিং) করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের ধারের ড্রেনের চেয়ে কিছু কিছু স্থানে সড়ক নিচু হওয়ায়, কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বরাদ্দ পেলে খুব তাড়াতাড়ি সড়কটি পাকা করণের কাজ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button