
তারার আলো খবর: তারাগঞ্জ উপজেলায় ১০৭ মিটারের একটি রাস্তায় এইচবিবিকরন কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সঠিক পরিমানে বালু না দিয়েই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করার অভিযোগে এলাকাবাসী সেখানে বিক্ষোভ করে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে,উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড় জুম্মাপাড়া গ্রামে কাঁচা রাস্তায় উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল থেকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের ১০৭ মিটার দৈঘ্য ও ৮ফিট প্রস্থ্যের এইচবিবিকরন কাজটি পান রংপুর মুন্সীপাড়ার মেসার্স নিশাদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজের মেয়াদ ছিলো ৩০ জুন পর্যন্ত। করোনার কারনে সঠিক সময়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশাদ কনস্ট্রাকশনের মালিক আতিয়ার রহমান। মেয়াদ উর্ত্তীর্নের প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর নিম্ম মানের বালু ও ইট দিয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে এইচবিবিকরনের এ কাজটি শুরু করেছেন।
এতে টের পেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে এলাকাবাসি রাস্তায় গিয়ে ভালো মানের কাজের দাবী করলে ঠিকাদার আতিয়ার রহমান কাজটি বন্ধ করে দেন। ওই এলাকার নওয়াব আলী, হবিবর রহমান ওরফে নাম্বার ওয়ান, নুরুজ্জামান ওরফে ভুট্টু, খায়রুল আলম. আব্দুল মজিত, ওয়াদুদ আলী, দুলাল হোসেনসহ এলাকার অনেকেই জানান, ১০৭ মিটার দৈঘ্যের এইচবিবিকরনের এই কাজটিতে প্লান স্টিমেট অনুযায়ী ৮ ইঞ্চি পরিমান বালু ফেলার পর বালুতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি দেয়ার কথা থাকলেও রাস্তায় ৩ ইঞ্চি পরিমান বালু ফেলে পানি না দিয়েই ঠিকাদার শ্রমিকের মাধ্যমে নিম্ন
মানের ইট দিয়ে এইচবিবিকরন কাজ করছেন। এছাড়াও উপজেলা প্রকৌশল অফিসের দায়িত্বরত সহকারি প্রকৌশলী হারু বাবু রায় তদারকির দায়িতে থাকলেও তিনি কাজটি দেখতে আসেন না বলে ঠিকাদার তার মন গড়ানোভাবে কাজটি করছেন। তাই ভালো মানের কাজের দাবীতে এলাকাবাসি রাস্তায় বিক্ষোভ করলে ঠিকাদার কাজটি বন্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী হারু বাবু মোঠোফোনে জানান, এলাকাবাসী নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করায় কাজটি আপাতত তাদের দাবির মুখে বন্ধ আছে। পরে গিয়ে আমরা কথায় বলায় এলাকাবাসীর সাথে সমাধা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে কাজটি আবার শুরু করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ হায়দার জামানের মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার প্রচন্ড জ্বর চলায়, এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।