
তারার আলো খবর: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তিন বছর ধরে খারুভাজ নদীর ওপরের সেতু ভেঙে পড়ে আছে। অথচ সেতুটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এর ফলে ওই সেতুর আশপাশের গ্রামের মানুষ পড়েছে ভীষণ দুর্ভোগে। সাধারণ মানুষ যেমন যানবাহনে ওই সেতু সংশ্লিষ্ট সড়ক পার হয়ে চলাচল করতে পারছে না, তেমনি কৃষকেরাও তাঁদের উৎপাদিত ফসল হাটবাজারে নিয়ে যেতে পড়েছেন দুর্বিপাকে। কেউ কেউ অনেক দূরের পথ ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন।
এই সেতুটি তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খারুভাজ নদীর নেকিরহাট নামক স্থানে নির্মিত। এটি গত ২০১৮ইং সালের বন্যায় ভেঙে পড়ে। এতে ওই সেতুর ওপর প্রত্যক্ষ নির্ভরশীল ১০টি গ্রামের প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী ও হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের নেকিরহাটের কাছে সেতুটির অবস্থান। আগে ওই ইউনিয়নের মানুষ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ ঘুরে তারাগঞ্জ সদর হয়ে রংপুর শহরের যাতায়াত করত। ওই ইউনিয়নের সঙ্গে রংপুর শহরের যোগাযোগ সহজ করতে ১৯৯৬ সালে খারুভাজ নদীর ওপর নেকিরহাটের কাছে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময়ে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজারের কাছে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণ করে উপজেলা পরিষদ। এই সেতুর ওপর দিয়ে রংপুর শহর যেতে পথের দুরত্ব অনেক কমে যাতায়াত সহজ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির এক দিকের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে আছে। অন্যদিকের পিলারগুলোতে ফাটল ধরেছে। সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ আছে। নেকিরহাট গ্রামের কৃষক তাহের,কাজল,দুলাল,আলতাফ সহ কয়েকজন জানান, এমনিতে আমাদের আবাদ করা ফসলের দাম নাই। তার ওপর হাটবাজারে নিয়ে ফসল বিক্রিরও কোনো বুদ্ধি নাই। ব্রিজ ভেঙে দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় আমরা পড়েছি চরম দুর্ভোগে।
এলজিইডির তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান বলেন, ‘ওই সেতুটির কথা আমার জানা আছে। ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ না আসায় সেতু নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’